NOT KNOWN FACTUAL STATEMENTS ABOUT অপূর্ণ প্রেমের গল্প

Not known Factual Statements About অপূর্ণ প্রেমের গল্প

Not known Factual Statements About অপূর্ণ প্রেমের গল্প

Blog Article

কথাটি হঠাৎ করে রক্তিমের দিকেকেউ দৌড়ে আসতে আসতে বললো। তাই রক্তিম ভালো করে চক্ষের পানি গুলো মুছে দেখতে লাগলো যেকে আসলে এই কথাটা বললো। কিন্তু রক্তিম যা দেখলো তা দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যায়। কারণ যে এই কথাটি বলে দৌড়ে আসছে সে আরকেউ না সেটা হলো দিশা। এক প্রকার অনেকটা দৌড়ে এসে রক্তিমের পাশে বসে সাথে সাথে রক্তিমকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে …….

তাই ডাক্তারকে বলে আমার দুটো কিডনী তোমায় দিয়ে ‘তোমার ওই একটা কিডনী আমি নিয়ে নেই।

এই বলে দিশা রক্তিমকে অনেক শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। জরিয়ে ধরার কিছুক্ষণ পর………

সারাটা রাত প্রায় না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলাম। সকালের দিকে একটু তন্দ্রা এল। সেই কাকভোরে আম্মা রুমে ঢুকে ডেকে বললেন তাড়াতাড়ি কাপড় গুছিয়ে নাও আজকেই আমাদের রওনা দিতে হবে। আম্মার কথায় আমার তন্দ্রা ছুটে গেল । আমি সটান বিছানায় উঠে বসে জিজ্ঞেস করলাম,” কেন আজকেই কেন?”

জীবনে হয়ত অনেক কিছুই ফিরে পাওয়া সম্ভব, কিন্তু স্কুল জীবনের সেই ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আর কখনই ফিরে আসবে না।

স্কুলের দিনে শিক্ষার মাধ্যমেই শিশুরা সঠিক মানসিকতা এবং নৈতিক মূল্যবোধের গভীর আদর্শ পায়।

আম্মু আমি রক্তিমের সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি। সে কি আমাকে ক্ষমা করে দেবে। ও কি আমায় ওর জীবনে আপন করে নেবে। আমি যে ওকে না দেখেই অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলাম আম্মু। প্লিজ বলো না আম্মু সে কি আমার মেনে নেবে আম্মু বলোনা আম্মু বলোনা। এই বলে দিশা ওর আম্মুকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। তারপর হঠাৎ করে চক্ষ চলে যায়। ফ্লোরে পরে থাকা রক্তিমের দেয়া গিফটের বক্সটার দিকে। তাই সে তারা-তারি করে বক্সটা হাতে নেয় এবং বক্সটা খোলে আর খুলে যা দেখে তা দেখে সাথে সাথে আবার চিত্কার করে কান্না শুরু করে দেয়।

স্কুল জীবনের দিনগুলি শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য একটি দুর্দান্ত সময়।

এক সময় যখন তুমি আমায় দেখে ফেললে তখন আবার নানান কথা ‘যেমন গুন্ডা ‘বখার্টে ‘ছোটলোক আরো কতো কি বলে সবার সামনে অপমান করলে। এক সময় তো তুমি আমাকে ছাত্র -ছাত্রী ভর্তি ক্যাম্পাসে সবার সামনে থাপ্পড়ও মেরেছিলে পুরো ঘটনাটা না শুনে। আসলে আমার কপাঁলটাই খারাপ। আমি যখনি তোমার সামনে ভালো থাকতে চাইতাম ‘ঠিক তখনি কোনো না কোনো কারণে খারাপ হয়ে জেতাম। আর তুমি আমাকে দেখে ভাবতে যে আমি গুন্ডা ‘রাস্তার বখার্টে ছেলে। কিন্তু বিশ্বাস করো এতো কিছুর পরেও আমি যেনো তোমাকে ভুলতে পারছিলাম না তাই সারাক্ষন শুধু তোমার পিছন পিছন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম তোমায়। তবে একদিন তোমার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে দেখতে হঠাৎ করে দেখলাম যে তুমি রাস্তার মধ্যে মাথা ঘুরে পরে গেলে। তাই সাথে সাথে তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। তারপর তোমার ফোন দিয়ে তোমার আব্বু- আম্মুকে ফোন করে হাসপাতালে ডেকে পাঠালাম।

আজকে তোমার এই সব কিছুর জন্য আমি দায়ী। আমার জন্য তোমার আজকে এই অবস্থা। আমার জীবন বাঁচাতে গিয়েই আজকে তুমি মরতে বসেছো। কেনো করলে তুমি এমন বলোকেনো করলে। (এই বলে আবারো রক্তিমকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো…)

সাথে সে এটার বলেছিলো যে ‘আপনাদের মেয়ে দিশা যদি বেঁচে থাকে তাহলে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ, তারচেয়ে যদি দিশা বেচে থাকে তাহলে মরে গিয়েও আমি শান্তিতে থাকতে পারবো। এটা ভেবে যে আমি বেঁচে নেই তো কি হয়েছে আমার ভালোবাসার মানুষটা বেঁচে আছে। জানিস সেদিন ওর কথা শুনে আমি ও get more info তোর আব্বু বুঝেছিলাম যে ছেলেটা তোকে কোতোখানী ভালোবাসে। আর তুই কিনা আজকে সেই ছেলেটাকেই……

রক্তিমের কথা শুনে সব ছেলে গুলো মেয়েটাকে ছেড়ে দেয়। আর মেয়েটা গিয়ে সোজা রক্তিমের পিছনে লুকিয়ে পরে। তারপর……

করেছে ম্যাডাম ‘অনেক বড় মহত কাজ করেছে। এই ছেলেটা আপনি চাইলে আপনার আম্মু অথবা আব্বুর কাছ থেকে জেনে নিয়েন। যানেন এই বখাটে ছেলেটা আপনার জন্য কি করেছে। জানেন কি করেছে সে আপনার জন্য। (বকুলকে ওর কথা শেষ না করতে দিয়েই রক্তিম বলে উঠে)

উপকার করার পর (করেছি) বলার চেয়ে সাহায্য না করাই শ্রেয়।

Report this page